বন্যা ও তার প্রতিকার

  পয়েন্ট সমূহ
(লোড হচ্ছে...)
    Image from bbc.com.

    ভূমিকা:

    আবহমানকাল ধরেই বাংলাদেশের মানুষ বন্যা নামক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে পরিচিতি। ঋতুচক্রের আবর্তনের মতো বন্যা ও প্লাবন আমাদের দেশে নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশ মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত। আর তাই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এখানে ভারি বর্ষণ অনিবার্য। মেঘমধুর আকাশ নিয়ে বর্ষা প্লাবিত নদীর দৃশ্য চিত্তকে আকৃষ্ট করে। কিন্তু দিনরাত অবিশ্রান্ত বর্ষণে যখন নদীর কূল ছাপিয়ে শস্যক্ষেত বাড়িঘর পানিতে ভেসে যায় তখন আমাদের দুঃখ দুর্দশার সীমা থাকে না। এ কারণে নিয়মিত বন্যা আমাদের দেশের জন্য প্রাকৃতিক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বাংলাদেশের জন্য বন্যা একটি ভয়াবহ সমস্যা। 

    বন্যার সংজ্ঞা: 

    সাধারণভাবে বর্ষার পানিতে কোনো এলাকা ডুবে গেলেই তাকে বন্যা বলা হয়। কিন্তু আমাদের বন্যার সংজ্ঞা ভিন্ন।। আমাদের দেশে নদীর দুকূল ছাপিয়ে দুপাশের ভূমিতে ঢুকলেও তা বন্যা হিসেবে চিহ্নিত হয় না। অবিরাম বর্ষণে কিংবা ভারত থেকে আসা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে যখন আবাসিক এলাকা প্লাবিত হয় এবংমানুষের শস্য,বাড়িঘর, রাস্তাঘাট তথা অর্থনৈতিক সম্পদের ধ্বংস সাধিত হয় তখন তাকে বন্যা বলা হয়। 

    বাংলাদেশে বন্যার প্রকারভেদ ও প্রকৃতি:

    বাংলাদেশে সাধারণত আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস বন্যা দেখা যায়। তবে বর্ষার অনেক পরেও অনেক সময় বন্যা দেখা যায়। তবে সকল বন্যার প্রকৃতি এক নয়। এদেশে মূলত তিন ধরণের বন্যা হয়।

    মৌসুমি বন্যাঃ এই বন্যা ঋতুভিত্তিক। সাধারণত জলবায়ু ও ভৌগলিক কারণে বর্ষা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় এই বন্যা দেখা যায়। এ বন্যায় জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

    আকস্মিক বন্যাঃ এ বন্যাও মৌসুমি বন্যার মতো নদী অববাহিকায় দেখা যায়। তবে এই বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। পাহাড়ি ঢল, অববাহিকা এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে এ বন্যা হয়ে থাকে।

    জোয়ার-ভাটা জনিত বন্যাঃ সমুদ্রের জোয়ারের পানি নিষ্কাশনে বাঁধা পেয়ে জলোচ্ছাসের সৃষ্টি হয়ে এই বন্যার সৃষ্টি হয়। পূর্ণিমা বা অমাবস্যার সময়ে এ বন্যার প্রকোপ দেখা দেয়। এ বন্যা উপকূলীয় অঞ্চলে দেখা যায়। 

    বাংলায় বন্যার ইতিহাসঃ

    হাজার হাজার বছর আগেও বাংলাদেশে বন্যা হতো তা বাংলার উপকথা থেকে আভাস পাওয়া যায়। আবুল ফজল রচিত আইন-ই আকবরী গ্রন্থে ১৫৮৪-৮৫ সালে 'বগলা সরকার' অর্থাৎ বর্তমান বরিশাল বিভাগ এলাকায় জলোচ্ছাসজনিত বন্যায় লোক নিহত হবার কথা উল্লেখ আছে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে ১৭৬০-৭০ সালে প্রথমে খরা ও পরে বন্যায় বাংলার এক তৃতীয়াংশ মানুষ মারা যায়। এসময়টি ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত। ১৭৮৭ সালে বাংলাদেশের উত্তর অ পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় অধিকাংশ নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়। ১৯৫০ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি রেকর্ড করা হয়। গত ৫০ বছরে মোট ৫৪টি বন্যা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৫৪, ১৯৭০, ১৯৮৮, ১৯৯০,২০০৪ ও ২০০৭ সালের বন্যা সবচেয়ে ভয়াবহ ও প্রলয়ংকারী।

    বন্যার কারণ:

    প্রতিবছর দেখা যায় বর্ষার শুরুতেই প্রথমে আসাম ও পরে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা যায়। পরবর্তীতে তা পাবনা, বগুড়া, রংপুর হয়ে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, সিলেট, প্রভৃতি জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া নিম্নাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যার সময় বেশি প্লাবিত হয় ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বাংলাদেশে বন্যার অনেক কারণ রয়েছে। এখানে একাধিক কারণ উল্লেখ করা যায়-

    অতিবৃষ্টিঃ মৌসুমি বাইয়ুর প্রভাবে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে সমগ্র বাংলাদেশে প্রচুর এবং নদীগুলোর উৎস্মুখে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।

    নিচুভূমিঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ নদীর উৎসস্থল হিমালয় পর্বত। সেখানকার বরফগলা পানি বৃষ্টির সাথে মিশে বন্যার সৃষ্টি হয়।

    বরফগলা পানিঃ বাংলাদেশের নদীর উৎসস্থল হিমালয় পর্বত। সেখানকার বরফগলা পানি বৃষ্টির পানির সাথে মিশে বন্যার সৃষ্টি করে।

    নদীর তলদেশ ভরাটঃ অতিরিক্ত পানি বহনের জন্য এদেশের নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। ফলে নদীর পানি বহনক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। তাই সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই নদীগুলো প্লাবিত হয় এবং বন্যা সমস্যা দেখা দেয়।

    নদীপথে বাধাঃ রাস্তা, সেতু, রেলপথ, বাঁধ দ্বারা নদীর স্বাভাবিক গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে উজানে পানির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়।

    খাল ও নালার অভাবঃ পর্যাপ্ত পরিমাণ খাল-নালা না থাকায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নদীপথে বাহিত হতে পারে না।

    অপরিকল্পিত রাস্তাঘাটঃ এদেশে রাস্তাঘাট যেমন অপরিকল্পিত তেমনি পর্যাপ্ত পুল ও কালভার্টের অভাব রয়েছে।

    সমুদ্রের জোয়ারঃ বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ও উভয়মুখী মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলভাগে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। ফলে নদীর পানি সাগরে পবেশ করতে পারে না। এভাবে জোয়ারের পানি দ্রুত স্ফীত হয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়।  

    বন্যার ক্ষয়ক্ষতিঃ

    বাংলাদেশের গণ্মানুষের জীবনে বন্যাবিঘ্ন এক মহাদুর্যোগ, এদেশে প্রতিবছর বন্যা দেখা দেয় এবং সর্বনাশা প্রভাব বিস্তার করে। মানুষ অসহায় ও আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। ফসলের ক্ষেত বিনষ্ট হয়। রেলপথ, সড়কপথের যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। ফলে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। সর্বহারা মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচুস্থানে আশ্রয় নেয়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। দেখা দেয় নানান প্রকার পানিবাহিত রোগ। মারা যায় শত শত মানুষ। 

    জনজীবনে বন্যার প্রভাবঃ 

    বন্যার কবলে পড়ে জনজীবনে অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা নেমে আসে। বন্যা পরবর্তী সময়ে দূষিত পানি ও বায়ুর প্রভাবে কলেরা, টাইফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডায়রিয়া প্রভৃতি রোগ মহামারি আকারে দেখা দেয়। এছাড়া অর্থনীতিতে অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হয়। এজন্য বন্যাকবলিত দেশে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা কষ্টকর। মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হতে থাকে। গ্রামের দরিদ্র মানুষের সবকিছু হারিয়ে জীবন-জীবিকার সন্ধানে শহরের দিকে ধাবিত হয়। অপ্রতিরোধ্যভাবে জানমাল, জনপদ ও আর্থিক ক্ষতির কারণে বাংলাদেশের বন্যা উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে চিহ্নিত।

    বন্যা নিয়ন্ত্রণে প্রচেষ্টাঃ

    সুদীর্ঘকাল যাবৎ এদেশের মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। ১৬৬০ সালে ত্রিপুরার জমিদার গোমতি নদীর দুই তীর বরাবর বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন। ঐসময় সুনামগঞ্জের জমিদারও বন্যা নিয়ন্ত্রণে কৃষকদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন এবং ফসলের অংশের বিনিময়ে শনির হাওরে বাঁধ নির্মাণ করেন। ১৯৫৪-৫৫ সালের বিপর্যকর বন্যার পর পূর্ব পাকিস্তান ওয়াপদা প্রতিষ্ঠা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯৬৪ পর্যন্ত ৫৮ টি বড় ধরণের বন্যা নিয়ন্ত্রণের সমীক্ষা ও কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।

    বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ

    বাংলাদেশের বন্যা প্রতিরোধের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। বন্যা প্রতিরোধে যে সমস্ত পদক্ষপে নেয়া যেতে পারে তা হলো-

    ১. বাংলাদেশে ভরাট হয়ে যাওয়া প্রধান প্রধান নদীগুলো খনন করে নাব্যতা বাড়াটে হবে।
    ২. বৃষ্টির পানি যাতে বড় বড় নদীতে দ্রুত নেমে আসতে পারে তার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক খাল ও নালা           খনন করতে হবে।
    ৩. প্রয়োজনবোধে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে বন্যা প্রতিরোধ করতে হবে।
    ৪. বড় বড় নদী ও খালের উভয় তীরে বেড়িবাঁধ দিয়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোকে বন্যার প্রকোপ থেকে           রক্ষা করতে হবে।
    ৫. বন্যার পূর্ববর্তী, বন্যাকালীন ও বন্যার পরবর্তী সময়ে কাজ কী সে সম্পর্কে জনগণকে প্রচার-                 প্রচারণার মাধ্যমে সচেতন করে তুলতে হবে।
    ৬. বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের যৌথ প্রচেষ্টায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে হবে।
    ৭. বন্যা  সম্পর্কে প্রাক-সতর্কীকরণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে।

    বন্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারি প্রচেষ্টাঃ

    সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ সরকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণে দেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তাদের গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

    নদীর গতিপথ পরিবর্তনঃ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর ২,৫০,০০০ কিউসেক পানি মেঘনা নদীতে সরিয়ে নিলে ময়মনসিংহ, সিলেট জেলার তিন লক্ষ একর জমি বন্যার হাত থেকে রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    নিষ্কাশন পরিকল্পনাঃ ১। গোমতী নদী খনন ২। ফরিদপুর পানি নিষ্কাশন পরিকল্পনা ৩। ডাকাতিয়া ও ফেনী নদী পরিকল্পনা ৪। যাদুঘটা বন্যা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা চলছে।

    পরিকল্পনা অনুযায়ী বাঁধ নির্মাণঃ ১. ব্রহ্মপুত্র বাঁধ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প ২.উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পও গৃহীত হয়েছে।

    বন্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের সাফল্যঃ

    ১৯৮৯-৯০ সালে ঢাকা ষোহোড় রক্ষায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ রাজধানীর বন্যা সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে বড় সাফল্য। রাজশাহীতে এই জাতীয় বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে বন্যা সমস্যা সমাধানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এছাড়া নদী ও সাগর উপকূলে বাঁধ নির্মাণের ফলেও সে এলাকার লোক বন্যার হাত থেকে বহুলাংশে রক্ষা পেয়েছে। তবে বন্যা দেখা দিলেই কেবল বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনা যায়। বন্যার পর যেন কোনো পরিকল্পনা বা কাজের গতি মন্থর না হয়ে যায় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। 

    বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনঃ

    প্রতিবছর বন্যার পরই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পুনর্বাসন কার্যক্রম গৃহীত হয়। তবে বাংলাদেশ সবসময়ই বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। ২০০৪ সালের বন্যায় জাতিসংঘ বন্যার পরবর্তী ৬ মাসে তিন কোটি হতদরিদ্র মানুষকে সাহায্য করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছে। এছাড়াও বন্যার্তদের জন্য চীন ১ লাখ ডলার নগদ অর্থ ১০ লাখ ডলার নির্মাণসামগ্রী দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। বৈদেশিক সাহায্য নয়, নিজেদের দেশের উদ্যোগে বন্যার্তদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করতে হবে। 

    বন্যার সুফলঃ

    বন্যার ক্ষতিকর দিক অনেক বেশি একথা চরম সত্য।  তবে এর কিছু সুফলও রয়েছে। বন্যা পলিমাটি বয়ে আনে এবং আমাদের ভূমিকে উর্বর করে দেয়। ফলে বন্যার পরে এদেশে প্রচুর শস্য হয়। তাছাড়া বন্যা গোটা দেশের সমুদয় ময়লা আবর্জনা ধুয়ে মুছে দেশকে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থকর করে তোলে। বন্যার আরো একটি গুণ হচ্ছে, বন্যার সম্য নদীনালা,খাল-বিল, হাওর প্রভৃতি জলাশয়ের পানি মাছপূর্ণ হয়ে যায়। তবে বন্যার কল্যাণকর দিকগুলো আমাদের জীবনে কার্যকর হয়ে উঠে না। কারণ একবারের বন্যার আশির্বাদ পরেরবারের বন্যা এসে নিঃশেষ করে দেয়। 

    উপসংহার:

    বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশই এখন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যার হাত থেকে রক্ষার ব্যবস্থা করছে। তাই আমাদেরও উচিত এ ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা। বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের বন্যার প্রধান কারণ হচ্ছে ফারাক্কা বাঁধ। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আলোচনা করে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে। বৈজ্ঞানিক সাহায্যের সঠিক প্রয়োগ ঘটিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণে প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে আন্তরিক হতে হবে। তবেই বাংলাদেশ বন্যার ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে পারবে। 

    Related Posts:

    Disqus Comments
    © 2020 রচনা স্টোর - Designed by goomsite - Published by FLYTemplate - Proudly powered by Blogger